ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
দেখা যায়, সকাল ৮টায় সড়কে তেমন যানবাহনের উপস্থিতি ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। তবে এই চিত্র চিরচেনা ঢাকার মতো না। সকাল ১০টার পর যানবাহনের সংখ্যা আরেকটু বাড়লেও তা সড়কে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
তবে ফাঁকা ঢাকায় এখনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশায় মানুষের যাতায়াত বেশি। ঈদ আনন্দ উপভোগে মানুষজন এখনও অটোরিকশা ও রিকশায় চড়ছেন বেশি।
রামপুরা, বাড্ডা ও গুলশান এলাকার সড়কে সকাল থেকে কোনো যানজট দেখা যায়নি। কিছু কিছু রাস্তা একদম ফাঁকা ছিল। ১০-১৫ মিনিটে রামপুরা থেকে নতুন বাজারে বাসে করে পৌঁছানো যাচ্ছে।
মো. লোকমান বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। আজ থেকে অফিস খুলে যাওয়ায় শনিবার রাতে তিনি সিলেট থেকে ঢাকায় আসেন। রোববার সকাল ৯টায় রামপুরা থেকে আরিকশা করে তিনি তেজগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বলেন, গতকাল এসেছি ঢাকায় ঈদের ছুটি শেষ করে। আজ সকালে বের হয়েছি অফিসের উদ্দেশে। ঢাকার রাস্তাঘাট এখনো ফাঁকা। এটা ভালোই লাগছে যানজট নেই। তবে ভাড়া একটু বেড়েছে।
এদিকে রাজধানীর কুড়িলে যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ রিকশাচালক আনোয়ার মিয়া জানান, ঢাকায় এখনো গাড়ি অনেক কম। তাই তাদের যাত্রী পেতে সমস্যা হচ্ছে না। ঈদের ছুটির সময় প্রতিবারই ভালো আয় হয় বলে এই সময় ঢাকায় থেকে যান আনোয়ার। ফাঁকা ঢাকায় যাত্রী টেনে একটু বেশি ভাড়া পাওয়া যায়, বলেন তিনি।
সদরঘাট থেকে উত্তরাগামী ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক মো. মঞ্জু বলেন, আজ সকালে সদরঘাট থেকে উত্তরা হয়ে এখন রামপুরা এসেছি। রাস্তায় আসা যাওয়ায় একটুও জ্যাম নেই। তবে সমস্যা হলো যাত্রী নেই। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে আমাদের কোনো আয় নেই, আমরা চাই যাত্রী। আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে সব মানুষ চলে আসবে।
এদিকে ঈদ ছুটি পরবর্তী ফাঁকা ঢাকা নিয়ে বাড্ডায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. জামাল বলেন, এখনো ছুটির রেশ কাটেনি রাস্তা থেকে। আরও কয়েকদিন এ অবস্থা থাকবে। আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে ঢাকা আগের রূপে ফিরবে।