ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
যানজট কমাতে রাজধানী কায়রোতে নতুন মহাসড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মিসর।
তবে এ সড়ক নির্মাণের কারণে হুমকিতে পড়েছে মুসলিমদের প্রাচীন কবরস্থান। অনেক পুরোনো ও নতুন কবর ভেঙে ফেলতে সেখানে চালানো হচ্ছে বুলডোজার। আর এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ রক্ষণশীল এবং মৃতদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
‘মৃতের শহর’ নামে পরিচিত কায়রোর পূর্বদিকের প্রাচীন কবরস্থানে— ইসলাম প্রবর্তনের পর থেকে— অনেককে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
কায়রোর বিশিষ্ট পরিবারগুলোর সঙ্গে এ কবরস্থানগুলোর এখনো ‘গভীর’ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ এখানে তারা এখনো নিজেদের প্রিয়জনদের সমাহিত করেন।
কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য হাজার হাজার কবরের ওপর বুলডোজার চালাচ্ছে সরকার। এই সড়কটি ৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকের নির্মাণাধীন নতুন রাজধানীর সঙ্গে কায়রোর সংযোগ তৈরি করবে।
যারা মৃত আত্মীয়-স্বজনদের কবর সরাতে চান—তাদের সেগুলো সরানোর জন্য মাত্র কয়েকদিন সময় দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হিশাম কাসেম নামের এক রাজনৈতিক কর্মী বলেছেন, ‘আমার মা যেখানে সমাহিত আছে, সেই কবরস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। এছাড়া সঙ্গে আমার দাদি, তার বাবা এবং পরিবারের সদস্যরাও এখানে আছেন। কয়েকদিন আগে আমাকে আল রুবাইকিতে তাদের মরদেহ সরানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে এবং বলে তিন-চারদিন আগে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন— এবং বলেন, কবরগুলো না ভেঙে বিকল্প কোনো উপায় আছে কিনা সেটি খুঁজে বের করতে।
সরকার জানিয়েছে, যেসব কবরকে ঐতিহাসিকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে সেগুলো কোনো ক্ষতি করা হবে না। তবে রক্ষণশীলরা জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই লাখ সমাধির মধ্যে মাত্র ১০২টির ঐতিহাসিকের মর্যাদা রয়েছে।
জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো জানিয়েছে, এসব প্রাচীন নিদর্শন অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। এছাড়া সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছে, এ বছরের সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে কাজ করবে তারা।
সূত্র: রয়টার্স