22 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর প্রাণ গেল ৬ হাজারের বেশি মানুষের

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে চলছে সামরিক শাসন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে নিয়োজিত বেশ কিছু গোষ্ঠী। আর দুই পক্ষের হাতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথম ২০ মাসে প্রাণ গেছে ৬ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিকের।

সম্প্রতি এক রিপোর্টে এই তথ্যই সামনে এসেছে বলে বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বুধবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথম ২০ মাসে মিয়ানমারে ৬ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অসলো এক রিপোর্টে জানিয়েছে। মঙ্গলবার এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।

রিপোর্টের দু’জন লেখকের একজন স্টেইন টননেসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের তথ্যে দেখা যাচ্ছে- সংঘাতে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আগের প্রাপ্ত সংখ্যার চেয়ে বেশি এবং জান্তা সরকার স্পষ্টতই বেসামরিক নাগরিকদের প্রধান হত্যাকারী। তবে জান্তা-বিরোধী শক্তির হাতেও প্রচুর পরিমাণে রক্তের দাগ ​​রয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০ মাসে মিয়ানমারে ‘রাজনৈতিক কারণে’ নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৭ জন বেসামরিক নাগরিক। একই সময়সীমায় আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬১৪ জন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাসহ অন্যদের প্রচারিত পরিসংখ্যানের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

প্রতিবেদন অনুসারে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর হওয়া এসব প্রাণহানির প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৩ হাজার ৩ জনের মৃত্যুর জন্য সরকারকে – সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং মিলিশিয়াদের – দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে ২ হাজার ১৫২ জনের মৃত্যুর জন্য সশস্ত্র বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছে পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অসলো।

এছাড়া ১২ জনের মৃত্যুর জন্য জান্তা বা বিরোধীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন অন্য বেসামরিক নাগরিকদের দায়ী করা হয়েছে এবং ১১৭০ জনের মৃত্যুর জন্য অজ্ঞাত অপরাধীদের দায়ী করা হয়েছে।

এএফপি বলছে, ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির দলের জয়লাভকৃত নির্বাচন বাতিল করে এবং তার সরকারকে উৎখাত করে।

আর এরপর থেকে জান্তা সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বিরোধীদের ওপর ব্যাপকভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক গ্রুপের মতে, ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ২৩ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে জান্তা।