ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত কয়েকদিন ধরেই বহুল প্রতীক্ষিত এ পাল্টা আক্রমণের কথা বলা হচ্ছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আসলেও, শনিবার (১০ জুন) জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে তাদের অভিযান শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘পাল্টা আক্রমণ ও রক্ষণাত্মক অভিযান চলছে।’
তবে তিনি জানিয়েছেন, তাদের পাল্টা আক্রমণ কোন পর্যায়ে আছে এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি কী? এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন না তিনি।
জেলেনস্কির এমন মন্তব্যের মধ্যেই জানা গেছে ডনবাসের দোনেৎস্কের বাখমুত শহরে সফলতা পেয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রুশ বাহিনীকে ১ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে হটিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে তারা।
এর আগে শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোচি শহরে এক অনুষ্ঠানে জানান, ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। তবে তিনি দাবি করেন, রুশ বাহিনীর কঠোর প্রতিরোধের মুখে ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
পাল্টা আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। রাশিয়া দাবি করেছে, ডনবাস, জাপোরিঝিয়ায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু তাদের সেসব হামলা প্রতিহত করে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা। কয়েকদিনের মধ্যে তারা দেশটির ২০ শতাংশ অঞ্চল অংশ দখল করে নেয়। এরমধ্যে কিছু জায়গা থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটেছে। আরও অঞ্চল দখলমুক্ত করতে এখন বড় পরিসরে হামলা চালানো শুরু করেছে ইউক্রেন। এ জন্য দীর্ঘ সময় প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।
সূত্র: বিবিসি