22 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

র‌্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু, আসছে বিএনপির কর্মসূচী

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

সরকারের ব্যর্থতার কারণে সামগ্রিকভাবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় জনমত গড়ে তুলতে কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, সভা মনে করে- এই অনির্বাচিত সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে সামগ্রিকভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের তোষণ নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচনের কারণে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধির কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

সভায় বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় বলে জানান তিনি। বলেন, পর পর এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উদাসীনতা, অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও নজরদারির অভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়াবহ পরিণতির স্বীকার হতে হচ্ছে।

বঙ্গবাজারসহ অন্যান্য স্থানে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও অবিলম্বে বঙ্গবাজারসহ সব বাজারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডয়েচে ভেলেতে প্রকাশিত ব্যাবের অপকর্মের ডকুমেন্টারি প্রকাশিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, এই ডকুমেন্টারি প্রমাণ করেছে যে, অনির্বাচিত সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সভায় অবিলম্বে সংবিধানবিরোধী ও মানবাধিকারবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয়।

এই বিএনপি নেতা বলেন, সভায় নওগাঁয় র‌্যাবের দ্বারা সরকারি কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে দায়ী ব্যাব কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম-সচিব আজিজুল হকের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার জন্য যথাযথ কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।