23 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতীয় আদালত থেকে খালাস পেলেন সালাউদ্দিন আহমদ

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফিরতে বাধা নেই। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন।

আজ বুধবার শিলং থেকে ফোনে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের সর্বশেষ রায় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর শিলংয়ের নিম্ন আদালতে তিনি খালাস পেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে। গতকাল স্থানীয় আদালত ওই আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের রায়ে তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি এখন যত দ্রুত সম্ভব, দেশে ফিরতে চাই।’

এর আগে এই মামলায় তিনি ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নিম্ন আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আপিল হওয়ায় তাঁর দেশে ফেরা হয়নি।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাঁকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সালাহউদ্দিন আদালতে বলেছিলেন, ২০১৫ সালের মার্চে তাঁকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাঁকে শিলংয়ে ফেলে যায়।

২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

সালাহউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।