ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। মোসাদ্দেক হোসেনের প্রথম দুই বলে মাত্র ১ রান নিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। কাজটা কঠিন হয়ে যায় অপর প্রান্তে থাকা ইয়াসির আলীর জন্য। দুই চারে শেষ পর্যন্ত এই ওভারে থেকে আসে ১২ রান। মোস্তাফিজুর রহমান-নাসিম শাহদের ভিত গড়ে দেওয়া ম্যাচে শেষ ওভারে মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জেতে ৪ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২ উইকেটে ১৬৫ রান করে কুমিল্লা। রান তা করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬১ রানে থামে খুলনার ইনিংস। ১৮ বলে ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির।
তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়ে। সঙ্গী হিসেবে শাই হোপ ছিলেন, কিন্তু তার ইনিংসে উল্টো আরো বিপদে পড়ে দল। ৩২ বলে ৩৩ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। শেষে ওয়াহাব রিয়াজ ৫ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসিরের সঙ্গে।
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-অ্যান্ডি বালবিরনিও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। তামিম ১০ বলে ১১ ও বালবিরনি ৩১ বলে ৩৮ রান করেন। মাঝে ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বল-রানের পার্থক্য কমান মাহমুদুল হাসান জয়।
কুমিল্লার হয়ে দারুণ বোলিং করেন ৪ ম্যাচ পর মাঠে ফেরা মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাসিম। ১টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন।
এর আগে লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ফিফটিতে খুলনা টাইগার্সকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা। রিজওয়ান ৫৪ ও খুশদিল শাহ ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রিজওয়ান সর্বোচ্চ রান করলেও তার ইনিংস ছিল ধীরগতির। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে ৪৭ বলে এই রান করেন তিনি। ফিফটি করেন ৪২ বলে। চার মারেন ৪টি আর ছয় ১টি।
লিটন ৪২ বলে ৫০ রান করে আউট হলে ভাঙে রিজওয়ানের সঙ্গে ৬৫ রানের ওপেনিং জুটি। লিটনের ইনিংস সাজানো ছিল ৯ চারে। জনসন চার্লস ক্রিজে এসে ঝড় তুলে ফেরেন সাজঘরে। তিনি ২২ বলে ৩৯ রান করেন।
খুলনার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ ও নাহিদুল ইসলাম। উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেন নাসুম আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দেন এই স্পিনার। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নাহিদ রানা, ৪ ওভারে দেন ৪৯ রান।