23 January 2025

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুলাউড়ায় বিএনপি নেতার গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার

Share

ষ্টাফ রিপোর্টার::

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গত ১৬ই জানুয়ারী রাত ১.০০ ঘটিকায় প্রাইভেটকারে তল্লাসি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। এই চাঞ্চল্যকর মাদক উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে কুলাউড়া থানা নিয়ন্ত্রনাধীন হিংগাজিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এস.আই. মিনাল শাহা ও তার ৩ জন অধিনস্থ্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে, বিশ্বস্থ্য সূত্রে মাদক প্রাচারের সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ভোর রাতে একটি সাদা প্রাইভেট কার যাহার রেকর্ড নং- ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫-৪৮৫২তে তল্লাসি অভিযান চালিয়ে একটি ছালার বেগ থেকে ৩৫০০ পিস ইয়াবা নামক মাদক ট্যাবল্টে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম গাজা, ৫৫টি বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০০ গ্রাম চড়শ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় যাহার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। তারা আরো নিশ্চিত করেন যে, এই অভিযান চালানোর সময় ২জন আসামীর মধ্যে ১জন আসামী গাড়ীর মালিক ও চালক লোকমান আহমেদ (৩৫) পিতা: আব্দুল আজিজ, সাং-কলেজ রোড, পূর্ব হিংগাজিয়া, কুলাউড়াকে ঘটনা স্থলে রাঙ্গা হাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ি বন্ধু সাজেদ মাসুদ (৩২) পিতা: তহুর মিয়া, সাং-দক্ষিন হিংগাজিয়া, কুলাউড়ার স্থানিয় বাসিন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টির রাতে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অত্যান্ত প্রভাববিস্তার করে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গোপনে দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহর মাধ্যমে রমরমাট অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিষয়টি বেশ কিছু দিন যাবৎ অত্যন্ত গুরুত্বসহ চতুরতার সাথে পর্যবেক্ষন করতে ছিলেন এবং অবশেষে মাদক ব্যবসায়ির মুখ্য হোতাদের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
থানার সূত্রে আরো নিশ্চিত হয় যে, এই ঘটনার মূখ্য আসামী লোকমানকে গ্রেফতার ও তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক পুলিশ অদ্য ভোরে কুলাউড়া থানায় রাষ্ট্র বাদী হয়ে উল্লেখিত ২জনের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছেন এবং পলাতক আসামী সাজেদ মাসুদকে গ্রেফতার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। আইন সংস্থার উর্ধ্বতন মহল দাবি করেন যে, আসামীদের বিরুদ্ধে আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে এবং এই মাদকদ্রব্য চক্রের সাথে জড়িত প্রতিটি অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পক্ষান্তরে প্রতিনিধি হাজতী ও পলাতক আসামী পরিবার এবং এলাকায় প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে, সামনে ১২তম সংসদ নির্বাচন এবং আসামীরা বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িতর থাকায় বাদী রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষমতাশীন দলীয় উচ্চপদস্থ্য নেতাদের সুপরিকল্পীত চক্রান্তের মাধ্যমে তাহাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র মূলক মামলা/হামলা চালিয়ে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় রাখার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করেছে।