ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
কারাগারে বসে এলএলএম (মাস্টার্স) পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছেন নাশকতার সাত মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।
রুহুল কবির রিজভীর অন্যতম আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, রুহুল কবির রিজভী একজন আইনজীবী। তিনি এলএলবি পাস করে আইন পেশায় যুক্ত আছেন। অধিকতর শিক্ষার জন্য তিনি প্রাইম ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম (মাস্টার্স) করছেন। আগামী ১১, ১৩ ও ১৯ জানুয়ারি তার ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা। এই বিষয় নিয়ে আজ সকালে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাবিধি অনুসারে কারা-কর্তৃপক্ষকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেন পুলিশ। ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশ।
গ্রেপ্তার ৪৫০ জনের মধ্যে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিজভী, অ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১৪ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। এরপর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ। বর্তমানে তারা দুজনও কারাগারে রয়েছেন।