জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপি দলীয় ৫ এমপি।
স্পিকারের কাছে সশরীলে পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
এছাড়া দেশে বাইরে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ থেকে একযোগে দলটির সব সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুন অর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তিনি গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।
এরপর দলটির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়েছিল, রোববার সশরীরে জাতীয় সংসদে গিয়ে স্পিকারের হাতে সবার স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হবে।
গোলাপবাগের সমাবেশে ধারাবাহিক বক্তব্যে বিএনপির এমপিরা জানিয়েছিলেন, ই-মেইলে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ছয়জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মির্জা ফখরুল ইসলাম নির্ধারিত সময়ে শপথ না নিলে বগুড়া–৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে সে আসনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী জিএম সিরাজ।
বিএনপি দলীয় ৭ সংসদ সদস্য সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার যখন ওই পত্র প্রাপ্ত হন, তখন থেকে ওই সদস্যের আসন শূন্য হইবে।