স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের রাজনগরে রাতের আধারে অন্যের জমির ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি সহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (মামলা নং-৩০৩/২২) দায়ের করেছেন ভোক্তভূগী আব্দুল মোতালিব খান।
এঘটনায় মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া চৌধুরী ঈমানী (৬৫), একই গ্রামের মৃত এরশাদ মিয়ার ছেলে মো. ইব্রাহিম (৫০), মৃত ছত্তার খানের ছেলে সরফরাজ খান (৫৫), ক্ষেমসহস্র গ্রামের আইয়ুব মিয়ার ছেলে মো. মাকির মিয়া (৪০), কর্ণিগ্রামের মৃত আফতাব মিয়া চৌধুরীর ছেলে আলাল মিয়া চৌধুরী (৩২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কর্ণিগ্রামের মনফর খানের ছেলে আব্দুল মোতালিব খান কর্ণিগ্রাম মৌজায় নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মোট ৭টি দাগে ৫ বিঘা জায়গায় কিছুদিন আগে ধান চাষ করেন। এসব ধান ইতোমধ্যে পেঁকে যাওয়ায় বর্গাচাষীদের ধান প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ মিয়া চৌধুরী ঈমানীর নির্দেশে গত ৯ নভেম্বর বুধবার ভোর ৩ টার দিকে এসব জমির ধান কেটে চুরি করে ভ্যানগাড়ি যোগে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে আব্দুল মোতালিব খানের প্রায় ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় আব্দুল মোতালিব খান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে মামলার আবেদন করলে মামলাটি আমলে নিয়ে রাজনগর পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ মিয়া ঈমানী বলেন, যে ধান কাটা হইছে এটা জলি বেগমের কাবিনের জায়গা। ধান অন্যজনের দায়িত্বে ছিল। যারা মামলা করেছে তারা শুধু শুধুই ঝামেলা করছে। তারা সব সম্পত্তি দখল করে খাচ্ছেন। আমি এখানে কিছুতে নেই। আমি কেন গিয়ে ধান কাটবো? এ জিনিস তো বসে সমাধান করা যায়। কিন্তু তারা এতে রাজি নয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হোসাইন আহমদ বলেন, আমার বাদির জমির ফসল বে-আইনিভাবে কেটে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার বাদি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এখন বিচারকার্য আদালত সম্পূন্ন করবেন।