27 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

অচলাবস্থা কাটাতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতা প্রস্তাব

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গুপ্তহত্যার চেষ্টার পর দেশটিতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমনকি হামলায় আহত ইমরান খান তাকে হত্যাচেষ্টার পেছনে যে ৩ জনের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন তাদের দুইজনই বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।

এতে করে পাকিস্তানের বিবদমান রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে বিভেদ আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সংকট ও অচলাবস্থা কাটাতে মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। রোববার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান প্রধান ইস্যুতে ঐকমত্য বিকাশে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। মূলত নিজের ব্যক্তিগত সক্ষমতার অধীনে এই কাজ করার বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছেন তিনি।

সরকারবিরোধী লংমার্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে গত বৃহস্পতিবার পিটিআই প্রধান পায়ে একাধিক গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় পাকিস্তানের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

সংবাদমাধ্যম এসপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং ফার্স্ট লেডি বেগম সামিনা আরিফ আলভি গতকাল শনিবার লাহোরের শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যান। এই হাসপাতালেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং সেখানে যাওয়ার পর তারা ইমরানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

এসময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি ইমরানকে তাদের শুভকামনা জানান এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এসময় প্রায় তিন ঘণ্টা তারা ইমরানের সঙ্গে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে পাকিস্তান একটি বিশাল সংকট থেকে রক্ষা পেয়েছে।

পরে প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন। এসময় আরিফ আলভি আবারও ইমরানের ওপর কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারকে প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। মৌলিক অধিকারের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার, জীবন ও স্বাধীনতার এবং বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো অনুসরণ করা উচিত এবং আলোচনা ও সংলাপসহ গণতান্ত্রিক উপায়ের মাধ্যমে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।