14 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

শেষ বলে জিতলো বাংলাদেশ

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

শেষ ওভারে লাগতো ১৬ রান। প্রথম বলে রায়ান বার্ল একটি রান নেন লেগ বাই থেকে। দ্বিতীয় বলে ব্র্র্যাড ইভান্সকে আফিফ হোসেনের ক্যাচ বানান মোসাদ্দেক হোসেন।

নতুন ব্যাটসম্যান রিচার্ড এনগারাভার হাতে লেগে চার। চতুর্থ বলে ছয় মারেন তিনি। শেষ দুই বলে লাগতো ৫ রান। পঞ্চম বলে স্টাম্পিং হন এনগারাভা। ব্লেসিং মুজারাবানি স্ট্রাইকে ছিলেন, তিনিও ছয় মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। ৪ রানের জয় নিশ্চিত করে মাঠ থেকে উঠে যান খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্প পেরোনোর আগেই নুরুল হাসান সোহান বল ধরে স্টাম্পিং করেন, যা আইসিসির আইন অনুযায়ী নো বল। উদযাপন করতে করতে মাঠ ছাড়া বাংলাদেশকে আবার মাঠে নামতে হয়। শেষ বলে লাগতো ৪ রান। এবার ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি মুজারাবানি। ৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।

উইলিয়ামসনকে রান আউট করে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরালেন সাকিব

১৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু আনেন সাকিব আল হাসান। শন উইলিয়ামস সিঙ্গেল নিতে গিয়ে তার সরাসরি থ্রোতে বোলার্স এন্ডে রান আউট হন। ৬৪ রানে থামেন তিনি। ওই ওভারে জিম্বাবুয়ে করে ১০ রান। শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার জিম্বাবুয়ের।

২ ওভারে ২৬ রান আটকাতে হবে বাংলাদেশকে

রায়ান বার্লের ক্যাচ ছেড়ে কী ভুলই না করলেন হাসান মাহমুদ। তার সঙ্গে শন উইলিয়ামস শক্ত জুটি গড়ে ফেলেছেন। তাদের চল্লিশ ছাড়ানো জুটি বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছে। ১৮তম ওভারে ৩৭ বলে ফিফটির দেখা পান উইলিয়ামস। ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৫ রান। শেষ দুই ওভারে ২৬ রান দরকার তাদের।

বার্লের ক্যাচ ছাড়লেন হাসান

১৩তম ওভারে রায়ান বার্লকে জীবন দিলেন হাসান মাহমুদ। সীমানার সামনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ছাড়েন, তাতে ছয় হয়ে যায়। একই ওভারে তিন বল আগে চার মারেন বার্ল। ১৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮০ রান।

উইলিয়ামস-চাকাভার জুটি ভাঙলেন তাসকিন

৩৫ রানে চার উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়েছিল রেগিস চাকাভা ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬৪ রান করে দলটি। তবে দুজন মিলে ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারলেন না। তাসকিন আহমেদ তৃতীয় ওভার বল হাতে নিয়ে তৃতীয় উইকেট তুলে নেন।

১২তম ওভারে চাকাভাকে ১৫ রানে পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান।

বল হাতে নিয়ে মোস্তাফিজের সাফল্য

তাসকিন আহমেদ তার দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেওয়ার পর মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত করলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে। দ্বিতীয় বলে মিড অফে মিল্টন শুম্বাকে (৮) সাকিব আল হাসানের ক্যাচ বানান। দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা নেমেই আউট হন মাত্র ৩ বল খেলে। রানের খাতা না খুলে ওই ওভারের পঞ্চম বলে আফিফ হোসেনের ক্যাচ হন তিনি। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ৩৬ রান তাদের।

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ককেও ফেরালেন তাসকিন

তাসকিন আহমেদ তার দ্বিতীয় ওভারেও পেয়ে গেলেন আরেকটি উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনের কাছে চার খাওয়ার পরের বলে তাকে পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান তাসকিন। ৮ রান করেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক। ৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ২ উইকেটে ১৭।

প্রথম ওভারে ফের তাসকিনের সাফল্য

প্রথম ওভারে আবারও সাফল্য পেলেন তাসকিন আহমেদ। নিজের দ্বিতীয় বলে ওয়েসলি মাধেভেরের কাছে চার হজমের পর তৃতীয় বলে তাকে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ বানান বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার। ৩ বলে ৪ রান করেন মাধেভেরে। ১ ওভারে ৫ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন তাসকিন।

জিম্বাবুয়েকে ১৫১ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ১৫০ রান।

নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেকে নতুন করে চেনালেন। ইনিংসের প্রথম ওভারে চার মেরে শুরু। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে সিঙ্গেল, ডাবলস কিংবা ফাঁক খুজে বাউন্ডারি বের করে নেন। তাতে ৪৫ বলে পান প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তার সঙ্গে সাকিব আল হাসান দৃঢ় এক ইনিংস খেলার আভাস দেন। তৃতীয় উইকেটে তাদের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব ফিরেন যান ২০ বলে ২৩ রান করে।

আরেক প্রান্ত থেকে আফিফ হোসেন পরে ভালো সঙ্গ দেন শান্তকে। এই জুটি ভেঙে যায় ৩৬ রানে। শান্ত তার ক্যারিয়ার ও ইনিংস সেরা ৭১ রান করেন ৫৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয় মেরে। তার আউটের পর আফিফ হাল ধরেন। দুইবার জীবন পান তিনি। কিন্তু শেষ ওভারে বাংলাদেশ ৭ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট হারালে রান একশ পঞ্চাশ পার করেনি। আফিফ শেষ বলে এলবিডব্লিউ হন। তার ব্যাটে আসে ১৯ বলে ২৯ রানের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি। সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস নেন একটি করে উইকেট।

শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

১৯তম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ ছাড়েন ব্র্যাড ইভান্স। সিকান্দার রাজার ওভারে ১৭ রানে জীবন পান আফিফ হোসেন। ওই বল থেকে একটি রান নেন তিনি।

এই সুযোগ কাজে লাগান আফিফ। দুই বল পর রাজাকে বিশাল ছক্কা মারেন। জিম্বাবুয়ের তিন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের শেষ ওভার থেকে ১২ রান তোলে বাংলাদেশ।

শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে রিচার্ড এনগারাভার শিকার হন মোসাদ্দেক হোসেন। সরাসরি শর্ট থার্ডে তার বল ধরা পড়ে তেন্দাই চাতারার মুঠোয়। অবশ্য আম্পায়ারকে চেক করতে হয়েছে, বল ব্যাটে লাগার পর মাটি ছুঁয়েছিল কি না। ১০ বলে ৭ রানে আউট হন মোসাদ্দেক।

শেষ ওভারের চতুর্থ বলে দ্বিতীয়বার জীবন পান আফিফ। কিন্তু সিঙ্গেল নিতে যান তিনি, নন স্ট্রাইক থেকে দৌড়ে এসে রান কিপার্স এন্ডে আউট হন নুরুল হাসান সোহান (১)।

১৯ বলে ২৯ রান করে আফিফ শেষ বলে এলবিডব্লিউ হন।

এক ওভারে ১৭ রান করার পর শান্তর বিদায়

১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে আফিফ হোসেন দুটি রান নিয়ে বাংলাদেশকে একশর ঘরে নেন। পরের ওভারে ব্র্যাড ইভান্সের বিরুদ্ধে মারমুখী নাজমুল হোসেন শান্ত। ওই ওভারে একটি ছয় ও দুটি চার মারেন। ১৬তম ওভারে ১৭ রানের মধ্যে তিনি একই নেন ১৬ রান।

পরের ওভারে থেমে যেতে হয়েছে শান্তকে। সিকান্দার রাজা তার তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশের হাফ সেঞ্চুরিয়ানকে থামান। দ্বিতীয় বলে শান্ত ক্যাচ দেন ক্রেইগ আরভিনকে। ৫৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৭১ রান করেছিলেন তিনি। ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৬ রান বাংলাদেশের।

শান্তর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি

১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ফাঁক বুঝে মিডউইকেট দিয়ে বল ঠেলে দিলেন। তারপর নিলেন এক রান। তাতে ৪৫ বলে ৫ চারে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৫ রান বাংলাদেশের।

উইলিয়ামসের বলে সাকিবের বিদায়

উইকেটকিপার রেগিস চাকাভার থ্রো থেকে রান আউট থেকে বেঁচে যান সাকিব আল হাসান। পরের ওভারেই তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। ২০ বলে ২৩ রান করে শন উইলিয়ামসের ক্যাচ হন বাংলাদেশের অধিনায়ক। স্কয়ার লেগে ব্লেসিং মুজারাবানি তাকে ধরেন। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৪৪ বলে ৫৪ রানের জুটি ভেঙে যায়।

শান্ত-সাকিব জুটির পঞ্চাশ

১০ ও ৩২ রানে প্রথম দুই উইকেটের জুটি ভাঙার পর সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হাসান শান্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। ১২তম ওভারে শান্ত দুটি রান নিলে তৃতীয় উইকেটের জুটি পঞ্চাশে পৌঁছায়।

শান্তর চারে বাংলাদেশের পঞ্চাশ

বাংলাদেশের পঞ্চাশ। অষ্টম ওভারের শেষ বলে নাজমুল হোসেন শান্ত তার তৃতীয় চারে দলকে ফিফটি এনে দিলেন। ৮ ওভার শেষে স্কোর ২ উইকেটে ৫২। সাকিব ১০ ও শান্ত ২৭ রানে অপরাজিত।

২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করলো বাংলাদেশ

ব্লেসিং মুজারাবানি দ্বিতীয় ওভার হাতে নিয়ে আরেকটি উইকেট পেলেন। ষষ্ঠ ওভারে স্কুপ করে শর্ট থার্ডে তেন্দাই চাতারার ক্যাচ হন লিটন দাস। ১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন তিনি।

নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে লিটনের জুটি ছিল ২৩ বলে ২২ রানের। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৩২ রান। শান্তর সঙ্গে ক্রিজে জুটি বেঁধেছেন সাকিব আল হাসান।

শান্ত-লিটনের প্রতিরোধ

সৌম্য সরকারের ব্যর্থতার পর লিটন দাস মাঠে নেমে দুটি বাউন্ডারিতে রান এগিয়ে নিচ্ছেন। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ২৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪ বলে ১৫ ও লিটন ৮ বলে ৯ রানে অপরাজিত।

শান্তর দুই চারের পর সৌম্যর বিদায়

রিচার্ড এনগারাভার চতুর্থ বলে প্রথম চারের দেখা পায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত পরের চার মারেন দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে। কিন্তু সৌম্য সরকার রানের খাতা খুলতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে ডাক মারেন তিনি। মুজারাবানির বলে উইকেটকিপার রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য।

আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে উজ্জীবিত জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারা বাংলাদেশ এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে।

বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন রয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে নেমেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। জিম্বাবুয়ে লুক জংউইকে বাদ দিয়ে নিয়েছে তেন্দাই চাতারাকে।

টস জেতার পর ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাকিব বললেন, ‘আমরা ব্যাট করবো। খুব শুষ্ক উইকেট এবং বোর্ডে রান তোলা নিয়ে সবসময় ইতিবাচক আমরা। দুই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিততে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে উজ্জীবিত এবং আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা পরস্পরকে ভালোভাবে চিনি।’

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটকিপার), মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, তেন্দাই চাতারা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্র্যাড ইভান্স, ব্লেসিং মুজারাবানি।