ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলছে বাংলাদেশ। সেবার বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভালো শুরু করে তারা। এরপর প্রতিটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কেবল হাহাকার আর বেদনাবিধুর গল্প।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা যে আতিশয্যে হয়েছিল, ২২ গজে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল, গর্ব নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পরাশক্তিকে হারিয়েছিল, তার কিছুই টিকিয়ে রাখতে পারেনি পরবর্তীতে। শুধু ওই বিশ্বকাপ কেন, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২১; বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জিততে পারেননি কোনও ম্যাচ। পরাজয়ের সেই গেরো আজ ছুটালেন সাকিব অ্যান্ড কোং।
র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশকে এবার প্রথম পর্ব খেলতে হয়নি। সরাসরি সুপার টুয়েলভ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের নায়ক পেসার তাসকিন আহমেদ। ২৫ রানে চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন এ পেসার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সেবার হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পায়নি আশরাফুলের দল। পরের তিন আসরে গল্পগুলো একই রকম। বড় দলগুলো পাশাপাশি পুঁচকে আয়ারল্যান্ডের কাছেও ২০০৯ সালে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশকে খেলতে হয় বাছাই পর্ব বা প্রথম পর্ব। ঘরের মাঠে সেবার আফগানিস্তানের সঙ্গে জিতে শুরু করলেও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। মাঝে নেপালের কাছে জয়ে বাংলাদেশ উঠে যায় দ্বিতীয় পর্বে। কিন্তু মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে আবার হার।
দুই বছর পর বাংলাদেশ মূল পর্বে জয়ের সূবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। তাও আবার ভারতের মাটিতে ভারতকেই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল মাশরাফির দল। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে মাত্র ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মূল পর্বে জয় পায়নি। উল্টো প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ড হারিয়ে দেয় মাহমুদউল্লাহদের দলকে।
‘অনন্তকাল’ অপেক্ষার পর বাংলাদেশ আজ জয়সূর্যের দেখা পেলো। এজন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হলো। ২০০৭ সালে প্রথম জয়ের সাক্ষী ছিলেন সাকিব। দীর্ঘ পথ চলায় আজ দ্বিতীয় জয়ের স্বাদও পেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে আছে নিশ্চয়ই।