ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
স্কোর: ২০ ওভারে বাংলাদেশ ১৬০/৭
২০ ওভারে নিউ জিল্যান্ড ২০৮/৫
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৪৮ রানে জয়ী।
২০৯ রানের লক্ষ্য মোকাবিলা করা বেশ শক্ত কাজ। বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ভালোই খেলছিলেন। বিশেষ করে সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের জুটি দারুণ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয়। এই জুটি ৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি। তারপর থেকে একাই লড়ে গেছেন সাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ক ইনিংস সেরা ৭০ রান করেন। বিশ্বকাপের আগে নিশ্চিতভাবে এই পারফরম্যান্স তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। লিটন দাস ও সৌম্য সরকার সমান ২৩ রান করেন।
সাকিবের একার লড়াইয়ে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। ৪৮ রানে হেরে গেছে নিউ জিল্যান্ডের কাছে। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে তারা। টানা তৃতীয় জয়ের ম্যাচে অ্যাডাম মিলনে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান টিম সাউদি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। ২৪ বলে ৬০ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।
টানা তৃতীয় হারে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের। পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড খেলবে শুক্রবারের ফাইনাল। বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার সকালে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে।
চার ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিউ জিল্যান্ডের। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাকিস্তানের এবং বাংলাদেশ সমান খেলে কোনও পয়েন্ট পায়নি।
কিউই অধিনায়কের শিকার বাংলাদেশের অধিনায়ক
নিউ জিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টিম সাউদির বলে উইকেট হারালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৮তম ওভারে ৬৭ রানে জীবন পেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আর ৩ রান যোগ করে পরের ওভারে সাউদির বলে ডেভন কনওয়েকে ক্যাচ দেন তিনি। মাত্র ৪৪ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৭০ রান করে উজ্জ্বল সাকিব।
সাকিবের হাফ সেঞ্চুরির পর ইয়াসিরের বিদায়
সাকিব আল হাসান পেয়ে গেলেন তার ক্যারিয়ারের ১১তম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি। ৩৩ বল খেলে পঞ্চাশে পৌঁছান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেটে বল পাঠিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি উদযাপন করেন তিনি। একই ওভারে নিজের প্রথম ছক্কা মারেন সাকিব। ওই ওভার শেষ হয় ইয়াসির আলীর উইকেট হারিয়ে। ছক্কা মারতে গিয়ে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ক্যাচ হন তিনি। টিম সাউদি পান নিজের প্রথম উইকেট। ৬ বলে ৬ রান করেন ইয়াসির।
সোহানকে ফেরালেন মিলনে
১১তম হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা সাকিব আল হাসানকে রেখে বিদায় নিলেন তার ডেপুটি নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ২ রান করে অ্যাডাম মিলনের তৃতীয় শিকার হলেন তিনি গ্লেন ফিলিপসকে ক্যাচ দিয়ে। ৬ বল খেলেন সোহান।
বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না আফিফ
সৌম্য সরকার আউটের পর আফিফ হোসেন ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। মাত্র চার বল খেলে চার রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের শিকার তিনি। মিডল স্টাম্প ডেলিভারিতে বল তার ব্যাট ও প্যাডের মাঝখান দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ৯৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
ভেঙে গেলো সাকিব-সৌম্যর জুটি
সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারের জুটিতে বেশ স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে অ্যাডাম মিলনের শিকার হলেন সৌম্য। ১৭ বলে তিন চারে ২৩ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের ক্যাচ হন তিনি। ২৭ বলে ৪৩ রানের জুটি ভেঙে যায়।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯০ রান। একই সময়ে নিউ জিল্যান্ড করেছিল ১ উইকেটে ৮৭ রান।
সাকিব-সৌম্যর জুটিতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ
সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারের জুটিতে সঠিক পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ৯ ওভার শেষে ৮৬ রান তাদের, যাতে ২১ বলে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দুজনের। এই পর্যায়ে নিউ জিল্যান্ড করেছিল ১ উইকেটে ৮১ রান।
দ্রুত রান তুলে আউট লিটন
আগের তিন ওভারে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট ও অ্যাডাম মিলনেকে একটি করে চার মারেন। পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ছক্কাও আসে তার ব্যাটে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভার শুরু করার আগে ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন দাস।
কিন্তু মাইকেল ব্রেসওয়েল বল হাতে নিতেই থামতে হলো তাকে। লেগ সাইড দিয়ে আরেকটি বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন। ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়ানো মার্টিন গাপটিল তাকে হতাশ করেন। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে আউট লিটন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নিজের প্রথম বলেই ব্রেসওয়েলকে চার মারেন সাকিব আল হাসান। তাতে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৫২।
দুইবার জীবন পেয়েও ১১ রানে আউট শান্ত
চতুর্থ ওভারের প্রথম বল। অ্যাডাম মিলনের বল তুলে মারলেন মিড অনের দিকে। লাফিয়ে দুই হাত বাড়িয়ে দিলেন টিম সাউদি। নিউ জিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তা ধরে রাখতে পারলেন না। শূন্য রানে জীবন পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত আবারও বেঁচে গেলেন। ১০ রানে দ্বিতীয় জীবন পেয়ে ইনিংস আর বেশি লম্বা করতে পারেননি। ওই ওভারের তৃতীয় বলে বলের লাইন ধরে খেলেছিলেন, কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারেননি। স্টাম্পে আঘাত করে। ১২ বলে দুটি চারে ১১ রানে থামতে হয় শান্তকে।
নতুন ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের বিরুদ্ধে পঞ্চম বলেই এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করে নিউ জিল্যান্ড। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন সাউদি। চূড়ান্ত রায় থাকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের পক্ষে। রিভিউ হারায় স্বাগতিকরা।
চার ফিল্ডারের হাস্যকর ভুলে জীবন পেলেন শান্ত
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে জীবন দিলেন নিউ জিল্যান্ডের ফিল্ডাররা। প্রথম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের তৃতীয় বলে শান্ত সুইপ করেছিলেন। বল ওঠে উঁচুতে, পড়ছিল শর্ট কভারের দিকে। ডেভন কনওয়ে ক্যাচ ধরার জন্য কল করেন, কভার থেকে গ্লেন ফিলিপস ও মিড অফ থেকে টিম সাউদি দৌড়ে আসেন। কনওয়ের কল শুনে তারা আর আগাননি, শেষ মুহূর্তে কনওয়েও কী বুঝে আর বল ধরেননি। চার ফিল্ডারের মাঝে পড়ে বল। বোল্টের মুখের অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল, কী হলো এটা! প্রথম ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ২।
বাংলাদেশের টার্গেট ২০৯ রান
শুরুতে অ্যালেন ঝড়। মাঝে কনওয়ের মুগ্ধতা ছড়ানো ব্যাটিং। শেষে ফিলিপসের তাণ্ডব। ব্যাটস্যান ত্রয়ীর দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড়ে নিউ জিল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ২০৮ রান তুলেছে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের সামনে ২০৯ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলেছে নিউ জিল্যান্ড। পাওয়ার প্লে’তে ৫৪ রান তোলা স্বাগতিকরা ১০ ওভারে পায় ৮৭ রান। শেষ ১০ ওভারে ১২১ রান পেয়েছে তারা।
যার পুরো কৃতিত্ব ফিলিপসের। ২৪ বলে ৬০ রান করেছেন ২ চার ও ৫ ছক্কায়। এর আগে ওপেনিংয়ে অ্যালেন ১৯ বলে দ্রুত ৩২ রান করেন। মাঝে ইনিংস মেরামত করেন কনওয়ে। ৪০ বলে ৬৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দলের নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে আজ সুযোগ পাওয়া মার্টিন গাপটিলও কম যাননি। ২৭ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। সব মিলিয়ে ব্যাটিংটা দারুণ হয়েছে কিউইদের।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলিং ছিল ছন্নছাড়া। কেউই ব্যাটসম্যানদের ভোগাতে পারেননি। চল্লিশের বেশি রান দিয়েছেন শরিফুল, ইবাদত ও সাকিব। সাইফউদ্দিন দিয়েছেন ৩৭ রান।
ফিলিপস ঝড়ে উড়ছে নিউ জিল্যান্ড
ছক্কা বৃষ্টিতে দ্রুত রান তুলছেন গ্লেন ফিলিপস। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুইশর পথে নিউ জিল্যান্ডের রান। মাত্র ১৯ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। এজন্য ৫টি ছক্কা ও ১টি চার মেরেছেন ফিলিপস।
কনওয়েকে থামালেন সাইফউদ্দিন, রান পাননি চাপম্যান
শান্ত মেজাজে ফিফটি তুলে নিলেও বড় সংগ্রহ পেতে ধীরে ধীরে আগ্রাসী হচ্ছিলেন ডেভন কনওয়ে। বাউন্ডারিও পাচ্ছিলেন। তবে ১৭তম ওভারে তাকে থামান সাইফ উদ্দিন। ডানহাতি পেসারের লেন্থ বল তুলে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন কনওয়ে। বলে গতি কম থাকায় বল সীমানার কাছে যায়নি। শান্ত সেখানে ক্যাচ নেন। ৪০ বলে কনওয়ে ৬৪ রান করেছেন ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। নতুন ব্যাটসম্যান চাপম্যানকেও টিকতে দেননি সাইফ উদ্দিন। তাকে বোল্ড করে ওই ওভারেই জোড়া সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
জুটি ভাঙলেন ইবাদত
পেসার ইবাদতের ফুলটস বল টাইমিংয়ে গড়বড় করে লং অফে ক্যাচ দেন মার্টিন গাপটিল। সীমানায় নিখুঁত ক্যাচ নেন শান্ত। তাতে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে গাপটিল ও কনওয়ের ৮৬ রানের জুটি। দলে ফেরা গাপটিল ২৭ বলে ৩৪ রান করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়।
নিউ জিল্যান্ডের একশ, কনওয়ের ফিফটি
১১তম ওভারের শেষ বলে কনওয়ের ব্যাটে জোড়া রান। ৯৯ থেকে নিউ জিল্যান্ডে রান পৌঁছে গেল একশ রানে। কনওয়ে পেয়ে গেলেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ৩০ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি পেতে ৫ চার ও ২ ছক্কা হাঁকিয়েছেন কনওয়ে।
বড় সংগ্রহের পথে নিউ জিল্যান্ড
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের অর্ধেকতম ওভারে নিউ জিল্যান্ডে রান ৮৭। পাওয়ার প্লে’ ঠিকঠাক কাজে লাগানোর পর ধারাবাহিক রান তুলছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। রান রেট ৮.৭০। বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংয়ে তেমন তেজ নেই। ব্যাটসম্যানদের ভোগাতে পারছেন কম। নিয়মিত বিরতিতে হজম করতে হচ্ছে বাউন্ডারি। তাতে রান বাড়ছে অনায়েসে।
পাওয়ার প্লে’ নিউ জিল্যান্ডের
রানে পসরা সাজিয়ে প্রথম ৬ ওভার নিজেদের করে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। অ্যালেন আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও কনওয়ে ছিলেন শান্ত। ক্রিকেটীয় সব শট খেলে রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। অ্যালেন ছিলেন আগ্রাসী। ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ পেয়েছে কেবল অ্যালেনের (৩২) উইকেট।
বিপজ্জনক অ্যালেনকে ফেরালেন শরীফুল
পাওয়ার প্লে’র পূর্ণ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলছিলেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। উইকেটের চারিপাশে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছোটান ডানহাতি ওপেনার। পঞ্চম ওভারে তাকে থামান পেসার শরিফুল। অবশ্য উইকেটের জন্য ইয়াসির আলী চৌধুরীকে কৃতিত্ব দিতে হবে।
হাওয়ায় ভাসতে থাকা বল দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন ইয়াসির। ডাউন দ্য উইকেটে এসে শরিফুলের শর্ট বল এলোপাথারি উড়ান অ্যালেন। বল যায় মিড উইকেটে। নিউ জিল্যান্ডের ভেনু্যগুলো খোলা হওয়ায় প্রচন্ড বাতাস থাকে। বল প্রচন্ড মুভমেন্ট করে। ইয়াসির শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বলের ওপর চোখ রেখে ক্যাচটি লুফে নেন। ১৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করেন অ্যালেন।
ইবাদতের বাজে শুরু
দলে ফেরা পেসার ইবাদত হোসেন তৃতীয় ওভারে বল হাতে পান। কিন্তু শুরুটা হয়েছে চরম বাজেভাবে। প্রথম ওভারেই খরচ করেছেন ১৫ রান। তার শর্ট বলে দুইবার ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন ফিন অ্যালেন। শেষ বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান পেয়েছেন ৩ রান।
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, ফিরেছেন সৌম্য
ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে বোলিং করবে বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় ম্যাচটি হ্যাগলি ওভালে শুরু হবে।
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দলে এসেছেন: সৌম্য সরকার, সাইফ উদ্দিন ও ইবাদত হোসেন।
দলে নেই: মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাশ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, কাজী নুরুল হাসান সোহান, সাইফ উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন।
দলে এসেছেন: মার্টিন গাপটিল, ট্রেন্ট বোল্ট ও অ্যাডাম মিলনে।
দলে নেই: কেন উইলিয়ামসন, ব্লায়ার টিকনার ও মিচেল স্ট্যানার।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: ডেভন কনওয়ে, ফিন অ্যালেন, মার্টিন গাপটিল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চাপম্যান, জিমি নিশাম, মিচেল ব্রেসওয়েল, ইশ শোধী, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
ধৈর্য ধরতে বলেছেন শ্রীরাম
সাকিব ফেরার পরও দলের ফলে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে গোটা দলটা যেন ভাঙা হাট। ত্রিদেশীয় সিরিজে আজ বাংলাদেশের জন্য টিকে থাকার লড়াই। হারলেই ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ওপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম।
ক্রিকেটপ্রেমী ও মিডিয়ার প্রতি শ্রীরামের অনুরোধ, ‘সব সমর্থক ও মিডিয়াকে আমি অনুরোধ করছি, আমাদের পাশে থাকুন। এটা দেশের ব্যাপার, সবার আবেগের ব্যাপার। আমি নিশ্চিত করতে পারি, দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনতে ছেলেরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমি চাই ধৈর্য ধরতে। বিশ্বকাপের অপেক্ষায় আছি আমরা। যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট আমরা খেলব, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে আমরা গর্ব উপহার দেব।’
আজ কি জিতবে বাংলাদেশ?
গত বছর বিশ্বকাপের পর থেকে নিউ জিল্যান্ডে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলে ১৪টিতেই হার বাংলাদেশের। যে চারটি জয় তার দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে, বাকি দুই জয়ের একটি জিম্বাবুইয়ে ও আরেকটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থায় নেই। এমন অবস্থায় নিউ জিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে জয় চিন্তা করাও কঠিন। কিন্তু অসম্ভব বলতে নেই কিছুই। সাকিবদের একটি ভালো দিন তাদেরকে আবার স্বরূপে ফেরাতে পারে।