স্টাফ রিপোর্টার:
একদিন পরেই মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুধু পৌর শহরেই এ পর্যন্ত ৭৯টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ডেকোরেটার্স শ্রমিকদের তথ্যমতে শুধু তোরণেই ২০ লক্ষ টাকার উপরে খরচ। তোরণের পাশাপাশি সড়কের দুই পাশ, বিদ্যুতের খুটি ও বিভিন্ন দেয়ালে ব্যানার ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে পদপ্রত্যাশী ও পছন্দের নেতাকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চেয়ে তাঁদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা এসব ফেস্টুন-বিলবোর্ড লাগিয়েছেন। আর এসব কাজে ব্যয় করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সরেজমিন মৌলভীবাজার পৌর শহর ঘুরে দেখা যায়, সরকারি কলেজ থেকে চাঁদনীঘাটের ইসলামপুর পর্যন্ত ৪৬টি, পুরাতন হাসপাতাল রোড থেকে সম্মেলন স্থল পর্যন্ত ১৩টি, শাহ মোস্তফা রোড থেকে বেরীরপার পর্যন্ত ১০টি ও শ্রীমঙ্গল রোডে ১০টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি রোডে নতুন নতুন তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে। ডেকোরেটার্স শ্রমিকরা রাতদিন কাজ করছেন। পুরো শহরটাই তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডে তোরণ লাগানোর কাজে রাজ ডেকোরেটার্সের শ্রমিক সালাম বলেন, একেকটি তোরণের জন্য তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। আর তোরণে লাগানো ব্যানার ও ফেস্টুন আলাদাভাবে নিজেদের খরচে লাগাতে হয়।
এদিকে জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন প্রার্থী কেন্দ্রের কাছে তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন রয়েছেন। সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হলেন সৈয়দ রেজাউর রহমান, সৈয়দ সেলিম হক, পান্না দত্ত, শেখ রুমেল আহমদ, মবশ্বির আহমদ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, সিতার আহমদ ও মতিউর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা হলেন হোসেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ সৈকত, সুমেষ দাশ, গৌছ উদ্দিন নিক্সন, হাবিবুর রহমান, তুষার আহমদ, সাদমান সাকিব চৌধুরী, সন্দীপ দাস, আবদুল আজিজ, আসাদুজ্জামান রনি, সাইফুর রহমান ও সৈয়দ নাজমুল।
জেলা যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন হবে। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের থাকার কথা রয়েছে। প্রধান বক্তা থাকবেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান। অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি থাকবেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। ২০১৭ সালের ৪ মে জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন মেলে ২০১৯ সালে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ বলেন, ব্যতিক্রমী সম্মেলন করার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সম্মেলন বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় এবং সিলেটের নেতারা এসে পরিদর্শন করেছেন। শহরে তোরণ লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে এসব তোরণ লাগাচ্ছে। তোরণ লাগানোর জন্য আমরা কাউকে নির্দেশ দেইনি এবং কেন্দ্রও আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেনি।