ছাদ খোলা বাসে বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল নিয়ে আসা হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নতুন রানীদের। নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জেতায় গোটা দেশ আনন্দে মশগুল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দেয়ালে দেয়ালে ঘুরছে সাবিনা, সানজিদা, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণাদের ছবি। অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন তারা। নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জনে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছেন সাবিনা অ্যান্ড কোং। কিন্তু আড়ালে একটি প্রশ্ন তো থেকেই যায়, এবার কি তাদের বেতন বাড়বে?
উত্তরটা পাওয়ার আগে তারা কতো বেতন পাচ্ছেন সেদিকে এক নজর চোখ বোলানো যাক। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাফুফে নারী ফুটবলারদের বেতন কাঠামো করেছে। তিনটি শ্রেণিতে ৩৬ জন নারী ফুটবলার বেতন পাচ্ছেন। শুরুতে ‘এ’ শ্রেণির বেতন মাসে ১০ হাজার, ‘বি’ শ্রেণির ৮ হাজার আর ‘সি’ শ্রেণির ৬ হাজার টাকা বেতন পেয়েছেন। এখন প্রতিটি গ্রেডে দুই হাজার টাকা করে বেতন বেড়েছে। হিসেব অনুযায়ী, সাবিনাদের মাসিক বেতন সাকূল্যে ১২ হাজার টাকা।
ফুটবলারদের আয়ের বড় উৎস হয় ক্লাব ফুটবল। এখানে মেয়েরা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্টই পাচ্ছেন! তবে ছেলেদের ধারের কাছেও নেই তারা। ক্লাব ফুটবলে একজন শীর্ষ পুরুষ ফুটবলার ৫০-৬০ লাখ টাকা পান। সেই অঙ্কটা জাতীয় দলের ফুটবলারের জন্য কোটির কাছাকাছি গিয়েও ঠেকে। নবাগতদের কেউ কেউ ১০-১৫ লাখেও দল পেয়ে যান।
আর নারীদের অঙ্কটা ৩-৫ লাখের ভেতরেই ঘোরাফেরা করে। কেবল বসুন্ধরা কিংসে যারা খেলছেন তারা এখন সাফের রানী। তাদের কি আরও বেশি পারিশ্রমিক হওয়া উচিত না? বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন ঘোষণা দিলেন এভাবে, ‘আমরা স্পন্সর থেকে এখন যে অর্থ পাচ্ছি সেটা দিয়ে মেয়েদের ভালোভাবে দেখভাল করছি। সামনে যদি আমরা আরও ভালো স্পন্সরশিপ অ্যামাউন্ট পাই নিশ্চয়ই ওদের বেতন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে।’
মেয়েদের বেতনের বাইরে বাফুফে প্রতি মাসে খাওয়া, কোচিং স্টাফদের বেতন, খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার খরচ বহন করে। সবই আসে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের থেকে। সেই অঙ্কটা বছরে ৪ কোটি।