করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হবে। সারা দেশে ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমবিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’-এ তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সচিব বলেছেন, ‘আগামী ১১ অক্টোবর পৌরসভা পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। এতে সারা দেশে কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুদের কাছে টিকা পৌঁছে যাবে। এর ফলে টিকা না পাওয়া বাকি শিশুরা আমাদের কাভারেজে চলে আসবে। বড়দের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সফলতা আছে। শিশুদেরকে ঠিকমতো টিকা দিতে পারলেই শতভাগ সফলতা আসবে।’
তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে এখনও বাচ্চাদের টিকাদান শুরু হয়নি, অথচ আমরা শুরু করেছি। প্রথম থেকেই টিকার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন করে রেখেছিলাম। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কার্যকর ভূমিকা নেওয়া শুরু করে দিয়েছি। আমরা আগে থেকেই টিকার সোর্স নিশ্চিত করে রেখেছিলাম।’
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটা অভ্যাস গড়ে উঠেছে—যখনই করোনার সংক্রমণ বাড়ে, তখনই তাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার। শিশুরা ইনজেকশনে ভয় পায়। তাই, অভিভাবকদেরই এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। শিশুদের মন থেকে ভয় দূর করতে হবে। শিশুদের মনে উৎসাহ তৈরি করতে হবে।’
শিশুদের টিকাদানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।