ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। প্রতিপক্ষের ফিল্ডারের হাতে জীবন পেলে যে কোনও ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। ক্রিজে সেট হওয়া ভানুকা রাজাপাকসাও করলেন তাই। দুইবার জীবন পেলেন শাদাব খানের কারণে, ইনিংস শেষে রান ৪৫ বলে অপরাজিত ৭১ রান। ভানুকাকে আউট করতে পারলে গল্প ভিন্ন হতে পারতো, তাই হারের পর নিজেকে দায়ী করলেন শাদাব এবং ক্ষমা চাইলেন দেশবাসীর কাছে।
ম্যাচ শেষে শাদাব টুইট করেছেন, ‘ক্যাচই ম্যাচ জেতায়। দুঃখিত, আমি এই হারের দায় নিচ্ছি। আমি আমার দলকে ডুবিয়েছি। দলের ইতিবাচক দিক হলো, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং পুরো বোলিং আক্রমণ ছিল দারুণ। মোহাম্মদ রিজওয়ান কঠিন লড়াই করেছে। পুরো দল তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন।’
প্রথমবার শাদাব ভানুকাকে জীবন দেন ৪৬ রানে। ১৮তম ওভারে হারিস রউফের বলে লং অনে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন পাকিস্তানি ফিল্ডার। এর এক বল পর ৩৫ বলে ফিফটি করেন লঙ্কান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে সীমানার খুব কাছে আসিফ আলী তার ক্যাচ মুঠোয় নিয়েই নিয়েছিলেন, কিন্তু শাদাব এসে বাগড়া বাঁধান। তার মাথা আসিফের কনুইয়ে ধাক্কা দিলে বল হাত ফসকে সীমানার ওপারে, হয় ছয়। ওই সময় ৫১ রান ছিল ভানুকার। অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তাকে ফেরাতে পারলে এত রান হতো না ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানো লঙ্কানদের। ৬ উইকেটে ১৭০ রান করে তারা।
ইনিংস শেষ হতেই শাদাবকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার লিখেছেন, ‘সে আমাদের সেরা ফিল্ডার। শাদাব খানের জন্য দিনটা ছিল খারাপ। কিন্তু আমাদের দলকে অবশ্যই ক্যাচ নিয়ে কাজ করতে হবে। এই টুর্নামেন্টে কয়েকবার এমনটা হলো। আমি আশা করি সে ঠিক আছে।’
ফিল্ডিংয়ে শাদাব ভালো করতে না পারলেও চার ওভার বোলিং কোটা পূরণ করে সবচেয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন। ২৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেন ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স, ব্যাটিংয়ে ৩৬ রান করেন এবং নেন ১ উইকেট। হংকংয়ের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শাদাব। সুপার ফোরে ভারতের দুটি উইকেটও গেছে তার দখলে। এসব পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হতে পারতো, যদি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় উঠতো।