নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর গেট এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় শাওন নামে একজন নিহত হয়েছেন। শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
শাওনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, অনুমতি ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা সকালে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
যুবদলকর্মী শাওন নিহতের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ বিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময়ে যুবদল কর্মী শাওন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, শাওন ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য। গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
শাওন ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব আলীর (মৃত ) ছেলে।