নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবে সরকার। এছাড়া, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেওয়া হবে ওএমএসের চাল।
বুধবার (৩১ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজিমপুরে ওএমএস কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। সারা দেশে ওএমএসের কেন্দ্র সংখ্যা হবে ২ হাজার ৩৬৩টি। এরমধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে। আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। ঢাকা মহানগর, শ্রমঘন ৪টি অঞ্চল ও বিভাগীয় শহরের মোট ৪০৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন হারে আটার মোট বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন।
ঢাকা মহানগরের ট্রাক সেল ৫০টি কেন্দ্রের প্রতিটির বরাদ্দ ৩ দশমিক ৫ টন করে। এছাড়া, ঢাকা মহানগরে আরও ১৪৭টি দোকানে চাল বিক্রি করা হবে, সেখানে বরাদ্দ ২ টন করে। ঢাকা মহানগর ছাড়াও ১৯টি ট্রাকের মাধ্যমে শ্রমঘন এলাকা ও বিভাগীয় শহরে প্রতিটিতে ২ টন করে চাল বিক্রি হবে।
ঢাকা মহানগরের ৫০টি ট্রাক সেল ছাড়া দেশের অন্য সব কেন্দ্রে (২ হাজার ৩১৩টি) চালের বরাদ্দ ২ টন করে। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে দৈনিক চালের বরাদ্দ ৪ হাজার ৮০১ টন। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) চালের বরাদ্দ এক লাখ ৫ হাজার ৬২২ টন। ৪০৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) আটার বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৩৩ টন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ, এপ্রিল-এ ৫ মাস পরিচালিত হয়। সারা দেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ওএমএস কেন্দ্রে এসে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে পারবেন ।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বলেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বাজারে চাল কিনতে না গেলে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে।