সাকিব আল হাসানকে আবারও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে আনায় বাংলাদেশের বৈশ্বিক ও মহাদেশীয় দুটি টুর্নামেন্টে ভালো করার বড় সুযোগ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। তার বিশ্বাস, সাকিবের অভিজ্ঞতা, আগ্রাসী অধিনায়কত্বে সতীর্থরা আরও উজ্জীবিত হবেন এবং দুটি বড় আসরে তিনি রাজত্ব করবেন।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এখনও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এই ফরম্যাটে এখনও সাকিব-মুশফিকদের পায়ের নিচের জমিন শক্ত হয়নি। নতুন করে এই ফরম্যাট ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনায় বিসিবি আবারও সাকিবকে নেতৃত্বে ফিরিয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন ওয়াটসন। তার বিশ্বাস, বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে বড় কিছু করে দেখাবে বাংলাদেশ। আইসিসি রিভিউতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবকে স্তুতিতে ভাসিয়ে ওয়াটসন বলেছেন, ‘একেবারেই! সাকিবের মানের একজন নেতা পাওয়া, আমি মনে করি এটা তাদের নতুন করে উজ্জীবিত করবে। সে অনেক অভিজ্ঞ। অনেকবার বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেছে। এছাড়াও অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। চাপের মুহূর্তে সতীর্থদের জন্য তার সিদ্ধান্ত অমূল্য হতে পারে।’
ওয়াটসন মনে করেন, অধিনায়ক সাকিবেরও নিজের প্রমাণের অনেক কিছু থাকবে এবং খুব অবাক হবেন যদি সাকিব আধিপত্য বিস্তার করতে না পারেন। ওয়াটসনের ভাষ্য, ‘তারও প্রমাণ করার একটা পয়েন্ট আছে এবং দলে যখন একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার থাকে যেখানে প্রমাণ করার জন্য একটি পয়েন্ট থাকে এবং তার ক্ষিপ্রতা থাকে, তারা সাধারণত আধিপত্য বিস্তার করে। পারফরম্যান্সের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি খুব অবাক হবো যদি সে এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে আধিপত্য না করে।’
টেস্টের পর সাকিব টি-টোয়েন্টিরও অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নেতৃত্ব দেবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। যার শুরুটা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ দিয়ে। এশিয়া কাপে সবশেষ চার আসরে তিনটিতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এবারে ফাইনাল খেলা কঠিন মনে হচ্ছে সাকিবের। তবে একেবারেই যে অসম্ভব নয় তাও মানতে নারাজ তিনি।