রেলের টিকেটের দাম ২০ রুপি অতিরিক্ত নিয়েছিল কেরানি। এর বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে মামলা করেছিলেন আইনজীবী তুঙ্গনাথ চতুর্বেদী। ২২ বছর পর সেই মামলায় জিতেছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৯৯ সালে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মথুরা সেনানিবাস রেলওয়ে স্টেশনে থেকে কেনা দুটি টিকেটের দাম ২০ রুপি অতিরিক্ত রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা করেছিলেন তুঙ্গনাথ। গত সপ্তাহে ভোক্তা আদালত তুঙ্গনাথের পক্ষে রায় দিয়েছে এবং রেলওয়েকে সুদসহ অর্থ ফেরত দিতে বলেছে।
তুঙ্গনাথ বলেন, ‘আমি এই মামলার বিষয়ে শতাধিক শুনানিতে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এই মামলার লড়াইয়ে আমি যে শক্তি ও সময় হারিয়েছি তার জন্য আপনি মূল্য দিতে পারবেন না।’
ভারতীয় ভোক্তা আদালত পরিষেবা সম্পর্কিত অভিযোগগুলো নিয়ে কাজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত মামলার কারণে এই আদালতে সাধারণ মামলার রায় দিতেও কয়েক বছর লেগে যায়।
উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তুঙ্গনাথ ১৯৯৯ সালে মথুরা থেকে মুরাদাবাদে যাচ্ছিলেন। মথুরায় তার কাছ থেকে দুটি টিকেটের জন্য রেলওয়ে কেরানি তার কাছ থেকে ৯০ রুপি নিয়েছিল। অথচ প্রতিটি টিকিটের দাম ৩৫ রুপি হিসেবে দুটি টিকেটের দাম হয় ৭০ রুপি। তুঙ্গনাথ কেরানির কাছ থেকে ২০ রুপি ফেরত চেয়েও পাননি। তাই, তিনি উত্তর পূর্ব রেলওয়ে (গোরখপুর) বুকিং ক্লার্কের বিরুদ্ধে মথুরার একটি ভোক্তা আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
তুঙ্গনাথ বলেন, ‘রেলওয়ে মামলাটি খারিজ করার চেষ্টা করেছিল। তারা বলেছে রেলওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো রেলওয়ে ট্রাইব্যুনালে সুরাহা করা উচিত, ভোক্তা আদালতে নয়। কিন্তু আমরা ২০২১ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় ব্যবহার করে প্রমাণ করেছি যে বিষয়টি একটি ভোক্তা আদালতে শুনানি হতে পারে।’
তিনি জানান, শুনানি বিলম্বিত হওয়ার কারণ বিচারকরা বিভিন্ন সময় ছুটিতে ছিলেন।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আদালত রেলওয়েকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ হাজার রুপি তু্ঙ্গনাথকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১২ শতাংশ সুদে ২০ রুপি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত রায়ে আরও বলেছে, যদি ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদান না করা হয়, তাহলে সুদের হার হবে ১৫ শতাংশ।