কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ায় উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলে দেশেও সারের দাম কমানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে), পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ডিএপির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভেবেছিলাম ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে, কিন্তু কমেনি। দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরিয়ার ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে ইউরিয়া ৭ লাখ ২৭ হাজার টন, টিএসপি ৩ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ৬ লাখ ৩৪ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ১০ হাজার টন মজুত রযেছে। আর আমন মৌসুম পর্যন্ত (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চাহিদা হলো-ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।
তিনি আরও বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যাতে কেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা নিবিড়ভাবে মনিটর করছি। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ সময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম উপস্থিত ছিলেন।