বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইজাজুর রহমান জুনেল। তার বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটিকে নিয়ে কাজ করতেন। দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে উজার করে দিতেন। মানুষের ভালোর জন্য নিজে হাসি মুখে কাজ করতেন। সর্বদা মানুষের কল্যাণ কামনা করতেন তিনি।
এই মানুষটি গত বছরের ২৬ জুলাই কুয়েতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে তিনি কুয়েতের আমিরি হাসপাতালে এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট এ নেতার স্মরণে শুক্রবার (২৯ জুলাই) কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে ওসমানী স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে কুয়েতে ওসমানী স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রয়াত ইজাজুর রহমান জুনেলের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী জুবের আহমদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাবেক ম্যাচ ক্যাপ্টেন সামসুল আরিফীনের সঞ্চালনায় এতে অতিথি ছিলেন, ডাক্তার মনিরুজ্জামান, ডাক্তার কাজী জামিল, ডাক্তার হাসান ফেরদৌস,আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবুল হাসেম এনাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হুসেন, ফ্রেন্ডস ইলেভেন ক্রিকেট ক্লাবের ম্যানেজার ওমর ফারুকসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি।
প্রয়াত ইজাজুর রহমান জুনেল একজন ব্রিটিশ নাগরিক হলেও বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। কুয়েতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বক্তারা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন। তারা আরো উল্লেখ করেন, ভালো ব্যবহার ও সুন্দর আচরণের জন্য তিনি ছিলেন সবার খুবই প্রিয় একজন মানুষ। এছাড়াও দানশীল,পরোপকারী ও উত্তম চরিত্রের একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন প্রয়াত জুনেল।
আইটিএফইউএস এর প্রতিষ্ঠাতা ইজাজুর রহমানের চাচাতো ভাই আমেরিকা প্রবাসী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী তানভীর বলেন, ইজাজুর রহমান অত্যান্ত ভালো একজন মানুষ ছিলেন। তিনি মানুষকে খুশি রাখার জন্য নিজেকে উজার করে দিতেন। তিনি সকল সময় সমাজের ভালো কিছু হোক এটাই কামনা করতেন। তিনি মানুষের জন্য কাজ করতেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি চাইতেন দেশের মানুষ এগিয়ে যাক। সমাজের মানুষের জন্য কাজ করতেন। তিনি মানুষের উপকার করাকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন।
তিনি বলেন, ইজাজুর রহমান আত্নীয়তার সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দিতেন। এই সম্পর্ককে মজবুত করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতেন। তিনি আব্দুস সোবহান চৌধুরী পরিবারকে এক বন্ধনে রাখতে সর্বাত্নক চেষ্টা করতেন। ওনারা ৫ ভাই ছিলেন। করোনায় ইজাজুর রহমান সহ দুই ভাই মারা যান। বাকি ৩ ভাই পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।