ম্যাচটা বাঁচাতে পারলেই সিরিজ হতো পাকিস্তানের। শেষ দিন তাদের হাতে ছিল ৯ উইকেট, সিরিজ সমতায় শেষ করতে শ্রীলঙ্কার জন্য ছিল পাকিস্তানকে অলআউট করার কঠিন চ্যালেঞ্জ। গলে দ্বিতীয় টেস্টে চিন্তার ভাঁজ কপালে নিয়ে শেষ দিন মাঠে নেমেছিল স্বাগতিকরা। প্রভাত জয়াসুরিয়া সব দুশ্চিন্তা দূর করে আনন্দে ভাসালেন দলকে। তিন টেস্টে চতুর্থবার পাঁচ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে অলআউট করলেন ২৬১ রানে।
৫০৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২৪৬ রানে জিতে শ্রীলঙ্কা ১-১ এ সমতা এনে দুই ম্যাচের সিরিজ ভাগাভাগি করলো পাকিস্তানের সঙ্গে। ১ উইকেটে ৮৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল সফরকারীরা। আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটির সঙ্গে বেশি রান যোগ করতে পারেননি বাবর আজম ও ইমাম উল হক। দিনের তৃতীয় ওভারে এই জুটি ভেঙে যায় রমেশ মেন্ডিসের বলে ইমাম আউট হলে। এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হয়নি তার, ৯০ বলে ৪ চারে ৪৯ রান করেন তিনি।
বাবর হাল ধরেন দলের, সঙ্গ পান মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছ থেকে। কিন্তু লাঞ্চের আধঘণ্টা আগে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। রিজওয়ানকে ৩৭ রানে বোল্ড করেন প্রভাত। ফাওয়াদ আলম ১ রানে রান আউট হন। আগা সালমানকে (৪) ফিরিয়ে লাঞ্চের আগে স্বস্তি ফেরান প্রভাত।
শেষ দুই সেশনে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৫ উইকেট। দ্বিতীয় সেশন শেষ না হতেই বাকি উইকেটগুলো নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। শুরুটা হয় বাবরকে দিয়ে, ২৩তম হাফ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ব্যাটসম্যান শতকের পথে ছিলেন। কিন্তু লাঞ্চের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ক্রিজে। পাকিস্তানি অধিনায়ক ৮১ রানে প্রভাতের শিকার, তার ১৪৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ১ ছয়।
আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। মোহাম্মদ নওয়াজ (১২) ও হাসান আলীকে (১১) রমেশ মেন্ডিস ফেরানোর মাঝে প্রভাত ইয়াসির শাহকে (২৭) আউট করে নিজের তৃতীয় ম্যাচে চতুর্থ ফাইফারের দেখা পান।
শেষ জুটিতে নওমান আলীর সঙ্গে কেবল ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন নাসিম শাহ। একটি চার ও দুটি ছয় মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে দুনিথ ভেল্লালাগের ক্যাচ বানিয়ে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন রমেশ। ২১ বলে ১৮ রান করেন নাসিম।
প্রভাত ৩২ ওভারে ১১৭ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৫ উইকেট। চার উইকেট নেন রমেশ।
দুই ইনিংসে ৩৩ ও ১০৯ রান করার সঙ্গে বল হাতে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দুই ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন প্রভাত।